টনি হিলিয়ের : ইংল্যাণ্ডের সুইনডন টাউনের কমিনউনিটি পোয়েট হিসেবে টনি নিজের পরিচয় দেন। কমিউনিটি পোয়েট্রি কবিতা, কবিতা লেখার ধরণ, উদ্দেশ্য বিধেয়র ওপর সমাজবদ্ধ জীবনের মূল্যবোধ আরোপ করে। টনির কবিতায় জীবনের আর্থ-সামাজিক সমস্যার কথা সাবলীল্ভাভে উঠে আসে। স্থানীয় মানুষের কথ্যভাষার রকমফের তাঁর প্রকাশভঙ্গীর ওপর ছায়া ফেলে। সে কবিতায় কান পাতলে শোনা যায় কত মানুষের কথা, যাদের ইতিপূর্বে কোনো কন্ঠস্বর ছিল না। টনির কবিতা একটি সমাজে মানুষের বেঁচে থাকার শব্দে ভরা। এই কবিতা দু’টি টনির কাব্যগ্রন্থঃ ‘সুইনডন ডায়মন্ড’ থেকে চয়ন করা।
অনুবাদ: অরিত্র সান্যাল
জীবাশ্ম আর গ্রেটা
আমরা বিদ্রোহ করি সাধারণ মানুষেরা
এখনও চাইলে এ সবকিছু ঠিক করে দিতে পারি
আইন অমান্য করে
ব্যাবসা-পাতি থামিয়ে দিয়ে
দুনিয়া বন্ধ করো, কাণ্ডজ্ঞানের
জন্ম হোক
দেশের ভালোর জন্য, দশের ভালোর জন্য
আমরা সাধারণ মানুষেরা বিদ্রোহ করি
*২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯। কবিতাটি গ্রেটা থানবার্গের বক্তব্যের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়।
পাথর প্রেম
বনের আলো খচিত
খচিত মৃদু মৃদু আঘাত
পাথর শ্রমিকেরা কাজ করছে
ঘাড় মাথা নিবিষ্ট
হাতুড়ির নরম টোকা
তার মন্দ চলনের ঢেউয়ে
লাইনের স্লিপারগুলিকে ঝাঁকিয়ে তোলে টয়-ট্রেন
ছ’টি চুনাপাথরের ব্লক
একটি সবুজ মানুষ আর খরগোশ হয়ে যায়
*২ জুলাই ২০২০। ডেভিড ‘উলফি’ উইলিয়ামসের সঙ্গে রিচার্ড জেফ্রি জাদুঘরে পাথর খোদাই চলাকালীন লেখা।