বাস্তুতন্ত্র
একটা নেড়ি কুত্তা সারাক্ষণ কুঁই কুঁই করছে বুকের ভিতরে
এই বুঝি বেরিয়ে এল প্রকাশ্যে
ভয় পেতে পেতে প্রতিদিন বুকের রক্ত হিম হয়ে আসে
চতুর্দিকে ঘোরা বিড়ালগুলো ল্যাজ ফোলায়,ঘাড় মোটা করে ঘোরে…
একটা বাস্তু দাঁড়াশ ঢুকে আসে ঘরে
দূরে লাফিয়ে পড়ে ব্যাঙ
আর এভাবেই ব্রম্ভময় হয়ে ওঠে জগত..
তোমার ভিতরে পোষা অ্যালসিসিয়ানের ছায়া চমকে দেয় আমাকে!
বিষ
ছোট হতে হতে ছাই হয়ে যাই আমরা
তবু বড় হওয়ার একটা বাসনা লুটোপুটি খায়
পা ভারি হয়,মুখ ভারি হয়
মাথাটাও কেমন যেন ভারি হয়ে ওঠে
সরোবর বা গাছতলার পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে টের পাই
সেই লোভী হিংস্র ছায়াটা
কেমন নির্বিকার নির্নিমেষ…
ছোট হতে হতে ছাই হয়ে যাই আমরা
তবু এই উগরে দেওয়া বিষে
নীল হয়ে থাকে আকাশ!
কবন্ধ
আগে কি কি ভাবতাম আর
এখন
কি কি ভাবি
সেটাই একটা রহস্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তায়
আগে খুব কুন্ঠা ছিল
এর ওর ভাবনার মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিতাম নিজেকে
জানতাম না কেউ কারও কথা ভাবে না
হয় শত্রু হয় না হলে মিত্র
না হলে কিচ্ছু না
যেমন আমার সামনে ভেসে ওঠা কবন্ধ বা
দলছুট হয়ে যাওয়া আঙুলের তলায় থাকাএকটা পিঁপড়ে..
সেরকমই… বিষণ্ণ মানুষেরা ক্রমাগত একা হতে থাকে
চতুর্দিকে রেলস্টেশন আর বাজার আর মাঠ
রৌদ্র আর আকাশ
নতজানু আর বরাভয়
হত্যা আর লুন্ঠন
যুদ্ধ আর জ্যোৎস্না
ধাবমান আর থেমে যাওয়া
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
এইসব কুড়াতে কুড়াতে আমার আর কিছুই ভাবা হয়না।