ওয়াহিদা খন্দকার
বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা লিখছেন ওয়াহিদা।
বাস্তব ও অতিচেতন মিলে তাঁর কবিতা হয়ে ওঠে বিপন্ন পৃথিবীর গল্প।
এর আগে প্রকাশিত হয়েছে ‘নীরব দশমিকের ভিড়’।
তাঁর নতুন কবিতার বই ‘বিবর্ণ সিলেটের সমীকরণ’।
হ্রেষা
বারবার ভেঙে যায় সাজানো দাবার ঘরবাড়ি।
সংস্কারের পর,
প্রত্যেকবার ভেবেছি গুছিয়ে খেলব।
বেঁচে থাকার এ খেলায়
সাদা সাদা গাছ। পাখি, সমুদ্র, জনতা…সবই শুভ্র
শুভ্রতা একটা কাল্পনিক রং
সংরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি,
আর গলে যাবার আশ্বাস থাকলেও
শুভ্র বরফকে কেউ কখনও ভালবাসেনি
তবু ওই আমার নির্জন বিশ্বাস, অনিবার্য পিছুটান।
নাম কিনে ফেরার পর বিপন্ন ঘরে বাগান রচি প্রতিদিন
ছোটাই ঘোড়া, শুনি আলাপী হ্রেষা।
তবু বারবার ভেঙে যায় এসব খেয়াল খেলা।
খেলায় খেলায় প্রতিবার শুধু নিজেরই ছুটি হয়ে যায়।
শিল্পী
কত বছর পরে তোমার সঙ্গে!
প্রশান্তি এল, সঙ্গমের পর থিতিয়ে পড়া কোষের মতো।
দেখি তোমার সপ্তম সুরে ভাটা,
চোখে শেষ সন্ধ্যার সূর্য, চিবুকে ভাঙা রকের অবসাদ।
আমিও শ্লোক থেকে গদ্যে নেমেছি খানিক।
অথবা শিশুপাঠ এখনো উচ্চারিত কোথাও কোথাও
কিন্তু ক্যানালে নির্দ্বিধায় বয়ে যায় নীরব উচ্চস্বর।
একযুগ আগে স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে পোঁতা হয়েছিল কলম উদ্ভিদ
সেই থেকে কিছু গল্পের পত্তন।
তারপর যা হয়,
ভেতরের শাঁস খেয়ে যায় পতঙ্গ কোনও
সম্পর্কের যুক্তব্যঞ্জন ভেঙে যায়, খসে পড়ে রেফ।