কিশোর ঘোষগভীরতাঅন্ধকার জ্বলে উঠতেই বোঝা গেল রাত্রিমাঠ মাঠ কৃষিখেতের কবরশুকনো ফুলের মতো কৃষকের হৃদপিণ্ডপড়ে আছে সমাধিপথেরপাথরের বুকের উপর...আর ওই মৌন চাঁদ, চৈতন্যের আত্মহত্যার সাক্ষীর মতোমহাপ্রভু গভীরতা---ওর আলোর কীর্তন আমাদের মায়ের মতোনসুর করে জাগেওর পদাবলি আয়ু, প্রেমিকার মতো নরমিয়া২অতএব, রোগাটে পাড়ার পেটেবাড়ে অবৈধ দিগন্তের তলানি তারা,দূরকে কাছের করেদূরত্ব ভোলানো আবদারেপথ-ঘাট...
বিশ্বজিৎশব্দের বিপরীতে১চুপ থাকাএক অসম্ভব শিল্প।জানি,কেউ কারোর ধার ধারে নাকেউ কারোর ঘর চালায় না।তবুও টিকিটএকই স্টেশনের দিকে…২অসুখ-বিসুখেতুমি থাকাটা জরুরি।তুমি নামটাই সব…সারাদিন পারদ ওঠে-নামেতুমিও ওঠা,নামার ভেতরপৃথিবীজুড়ে একটা কার্ফু চলছে৩জন্ম নিয়ে প্রশ্ন বাড়েশিক্ষার কোনও শেষ নেই।শূন্য বাড়তে বাড়তেসংখ্যারাও মুখোমুখি ভাস্কর্যে…৪মৈথুন শেষেসব অভিমান কেটে যায়।দিন বদলে আলোর কাছাকাছিছুঁয়ে যাই…একে অপরের মুহুর্ত
দীপ শেখর চক্রবর্তীছায়া সম্পর্কে যতটুকু আমি জানিকিছুদিন ছায়ার কথা না লেখা হলে আমি মোটেই ভালো থাকি না।অযথা লোকের সাথে খিটমিট করি,অথবা গুমরে গুমরে নিজেকে করে তুলি আস্ত একটা ব্যথার পুতুল।ছায়া, যে গা এলিয়ে শুয়ে থাকে, ব্যস্ত হয় না।চারপাশে কড়া রোদের জীবন যাকে দেখে ছিঃ ছিঃ করে-বলে,এতটাও নিশ্চিত থাকা ভালো...
রাজদীপ পুরীজন্ম  ১১ই  অক্টোবর, ১৯৮৫জন্ম  উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাকপুর শহরে।  শৈশবে কিছুদিন কাটে মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারে।  সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময় ‘শুকতারা’ পত্রিকায় প্রথম কবিতা প্রকাশ। পরবর্তী সময়ে ‘উনিশ কুড়ি’, ‘সানন্দা’, ‘তথ্যকেন্দ্র’, ‘কবিসম্মেলন’, ‘মধ্যবর্তী’, ‘কৃত্তিবাস’ সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও লিটিল ম্যাগাজিনে লেখালিখি। কবিতার বই চারটি— ‘হলুদ প্রেমের কবিতা’, ‘শুরুয়াৎ’,...
অরুণাভ রাহারায়জন্ম  ১৪ই আগস্ট, ১৯৯১জন্ম  উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহরে। পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসা। ২০১১ সালে কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকার সময় ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রথম কবিতা প্রকাশ। পেয়েছেন বর্ণালী স্মৃতি পুরস্কার, উড়ালপুল পুরস্কার এবং সৌমেন বসু পুরস্কার। কবিতার বই তিনটি— ‘সবুজ পাতার মেঘ’(২০১০) ও ‘দিনান্তের ভাষা’(২০১৫), খামখেয়ালি পাশবালিশ (২০১৮)।অসমাপ্ত অন্দরমহলশরতের ঝলমলে...
শাশ্বতী সান্যালদাঁড়কাকনা, আমার কোনো পোষা দাঁড়কাক নেইতাদের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিলো সাতাশ বছর আগেযে মানুষটা আমাকে সাদা দাঁড়কাক দেখানোর গল্প বলেছিলোখুব মনে করে দেখলাম, তার নাম নাদের আলি নয়অর্থাৎ বলা যায়, আমি এবং দাঁড়কাকঅথবা, দাঁড়কাক এবং আমিদীর্ঘদিন পরস্পরের প্রতি সৌজন্যমূলক দূরত্ব বজায় রেখেছি...এখন সমস্যা হল, ইদানিং আমি একটা বহুতলে...
ছন্দম মুখোপাধ্যায়ছায়া গণকতাকানো যেতে পারেসমৃদ্ধ কৃষকের স্ত্রী হবার পরবুঝেছি ফসল ঈশ্বরী নয়গোসাপযে, ঘামে, হাসির আড়ালে,স্পর্শটুকু কেড়ে রাখেআমি দাঁড়িয়ে থাকলাম,দেহসাঁটা আলোয়, মাঠের একপাশেযেখানে কোনো স্বপ্নের উদ্বৃত্ত পড়ে আছেসফরজেগে উঠেছেপুড়ে যাওয়া গো-হরণের খালযাকে ঘিরে রয়েছেসুয়েজের থেকেও গভীর একটি রাতধাক্কা নেই,চারপাশে মৃত জনপদতৃতীয় পৃথিবীএ-সবের ভেতরলণ্ঠনের আলোয় রোগা হয়ে যাওয়ানদীর মতো মা, তোমার...
সৈকত ঘোষরূপকথা নয়ঘটনাটা এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে,পৃথিবীর সব সম্পর্ক একটা জায়গায় এসে শেষ হয়নিজেকে গোপন করলেঅনুশোচনা বাড়ে মাত্রঘটনাটা এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারেজোয়ারের পর যেমন ভাঁটা আসেতেমনি তোমার লাবন্য খুঁজিদীর্ঘ বৃষ্টির পরসিনেমা থেকে উঠে আসা চরিত্রগুলো ঘুরপাক খায়আমি জীবিত,মৃত্যু লিখি ...জরাসন্ধের বিছানাভূ-ত্বকের নীচে ক্রমাগত বিস্তার পাচ্ছে অধিকারবোধআমাদের জামাগুলো...
অমিতকুমার বিশ্বাসগানসমস্তদিনের শেষে গান এলেরক্ত ছলকে ওঠে ঢেউএক-একটা ঢেউ ক্রমশ ভাসিয়ে নেয়... হলুদ বিকেল...পোড়া বাঁশি....আর আমার কিশোরী মায়ের স্বরলিপির ছেঁড়া খাতাদিগন্ত পেরিয়ে যখন গান আসেএকটু- একটু ভিজতে থাকি আমিভিজে যায় সংকীর্ণ সাঁকো,মৃতগাছঈশ্বরীর প্রতিশুনছো?পালক ঝরছেধোঁয়া-ওঠা তপ্ত সাদাভাতের মতোশুশ্রুষাময় পালক ঝরে পড়ছে হেমন্তভোরে।কেউ কি অাসবে?কালো চিতার মতো রোমশ অন্ধকার ক্রমশ গিলে...