রাত দীর্ঘ হলে ভয়ও লম্বা হয়ে যায় বাইরে বৃষ্টি নামে --- প্রবল বৃষ্টি ঘরে খিল এঁটে দিই শব্দ আসে শব্দ ভাসে শব্দ হাসেও ঘরে তখন একা এবং অনেকে তবুও শব্দ আসে জাগিয়ে রাখে সমস্ত রাত রাতও জেগে থাকে ঠিক নিশাচর পাশাপাশি সেও অস্ত্র শানায় রাত দীর্ঘ হলে ভয়ও লম্বা হয়ে যায় রাতের সব চরাচর চুপ চুপচাপ ঘরে...
একটা সাদা-কালো ছবিতে আমি সযত্নে রেখে দিয়েছি রক্তকরবী! যদিও আমার কল্পনা কোনো অবয়বে ধরতে পারেনি সে ফুল! রঙ দিতে পেরেছে কেবল...লাল, খুব গাঢ় সমস্ত ছবিটায় ওই রঙটুুকু জানান দিয়ে বলবে ঠোঁটে অমন করে লিপস্টিক আঁকার কারণ শরীর থেকে শুকিয়ে যাবার আগে হেমন্তের শিশির ওষ্ঠে ধারণ করো... একটা কোনো ধ্রুব ইশারা তো চাই তারই জন্য এমন রক্তকরবী। তুমি নেবে? কবিরা শুনেছি ফেরায়...
সঞ্চারী ভৌমিকপ্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালিখি।একমাত্র বই ‘আলপনা বাড়ি‘।১.খুব বৃষ্টি  হলে  মাটির  রঙ বদলে  যায়,বৃষ্টিতে  ভেজা  নরমমাটি কে  দেখলে  আমার  মায়ের  কথা  মনে পরে;সোঁদা গন্ধের  গায়ে  লেগে  থাকে  সদ্যমাঠ থেকে  ফিরে  আসা মায়ের  ক্লান্তিজল।বৃষ্টিতে  মাটির  সর্বশরীর  ভেজে, আগুনআঁচ  আমার  মায়ের  শরীর  ভেজায়।তখন...
স্রোতের মাঝখানে শান্ত ঘূর্ণির মতন নাভি। নাভির মতন দুরারোগ্য গভীর অবসাদ। শুধু দুধ পোড়ার গন্ধে আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। শুধু টেবিলক্লথের ওপরে শুকনো চায়ের দাগ দেখে সাহস করে বলেছিলাম, দরজা খোলো, কিছু কিনতে হবে না। আমি আজ টবের শুকনো গাছগুলোর গোড়ায় জল দিয়ে চলে যাচ্ছি। কাল আমি স্নানঘরের আয়না...
এভাবেও চলে যাওয়া যায়! যেভাবে মেলার ভিড়ে পাঁচ বছরের ছেলেকে কোনও দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে বাবা দু'মিনিট আসছি বলে নিরুদ্দেশ, যেভাবে বৌয়ের হাতে সকালের চা খেয়ে ঘুমন্ত ছেলেমেয়েকে রেখে মর্নিং ওয়াকে গিয়ে মানুষটা ফেরে না আর, সেভাবেই আমাদের ফেলে চলে গেলে। রোদ্দুরে আর অঝোর বৃষ্টিতে আশ্রয়হীন পথ চলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ও দিলে না। এখন এত রক্তক্ষরণ,এত নিঃশব্দ শ্রাবণ নিয়ে কী...