মিলন
বারবার দেখা হবে আমাদের
নদীর ধারে…
পাহাড়ের ঢালে…
অথবা গ্রন্থাগারের নীরবতায়
এই চরাচর ছেড়ে যাচ্ছ
যাও—
তবে মোহনায় যেও না
ওখানে নবীন পলি
রাত্রির কারণ বোঝে না
জেনে রাখো অভিমান
সফল সন্ন্যাসী কামনাসাগর পাড়ি দিয়ে
ছুটে যায় অরণ্যে, মোক্ষ লাভের আশায়
চিন্তা হয়… যদি পথ হারিয়ে ফেলো
প্যাডক গাছের ছায়ায়
নাভি ভরা তেজ পথে উগরে দিয়ে,
জলপাত্র উজাড় করে ফিরে এসো
দেখা হোক আমাদের নাগরদোলায়,
দেখা হোক আমাদের ভাষানগরের ছায়ায়…
ডাক
আর অপেক্ষা করিও না, আমাকে ভাত দাও
দু’মুঠো খেয়েই চলে যাব ওই দূরের মাঠে
দাঁড়াব না একটুও, ভাত মেখে দাও দ্রুত
বোঝার চেষ্টা করো, হাতে সময় বড় কম
পেটের ভিতরের আগুন বাইরে বেরিয়ে আসার আগে, সন্ধ্যা নামার আগে, আমাকে খেতে দাও—
মিথ্যা নয়, ওই দেখো দিগন্ত, ওই দেখো
নীল রঙের জামা, ওরা আমাকে ডাকছে
মায়া ত্যাগ করো, এই ডাক ঘূর্ণিপাকের মতো
সৎ ও স্বচ্ছ, আমি উপেক্ষা করতে পারব না
আমাকে খাইয়ে দাও, আমাকে বিদায় দাও
ওই দূরের মাঠ, দিগন্ত, নীল রঙের জামা—
ওরা প্রত্যেকেই কবিতা-সম্ভবা, আমার বন্ধু
আমি একবার ওদের ছুঁয়ে আসতে চাই—
ডানা
আমি নিজে দেবতা নই
যারা মনে করে দেবতা তাদের
আমি তাদেরও নই
আমার কোনও পাপ নেই
যেটুকু পুণ্য সঞ্চয় করেছিলাম
গোপনে গাছের গোড়ায় জল ঢেলে
সেসব শূন্য হয়ে গেছে গোটা জীবন বারুদের
দেশলাই কিনে
আমি অনেক আগুন জ্বালিয়েছি
কিন্তু আমার কোনও পাপ নেই
এখন প্রার্থনা করি সেই গাছের কাছে দাঁড়িয়ে
পরের জন্মে ডানা দিও—
কবিতার মতো উড়ব আকাশে…