সূর্য, ঘোড়া
বরং এবার আলাদা রাখি সূর্য, ঘোড়ার কথা।
মাটির যে ঢাল তেষ্টা চেনে, আইঢাই খুব–
মরতে গেল জলের কাছে। সূর্য তখন
তেষ্টা দ্যাখে, আচমনে সাজিয়ে রাখে খুরের দায়ভার।
ছুটছে আড়াল, ভাসান প্রখর, ডুবছে কাঁপন,
মন্থনবোধ উঠছে অধীর– দরদাম তার খোলস শুধুই
আনকোরা দাগ রেসের আওয়াজ– সাতটা শরীর স্রোতের
ফাঁকে রশ্মি চাটে, হিসেব রাখে, কখন অনুশাসন ভুলে রথের সমাহার।
খুরের তেজে সূর্য সরে, কাঁটায় আগুনসীমা জানে নদীর অনাহার!
শুদ্ধ, শূন্য
হাওয়া, পাখি, জল– পরিচিত ভাষা সব
কার দিকে ফিরি?
দুয়ারে দাঁড়ালে ধনী ভেক ধরে শব;
নিশ্চল – অ-নিঃশ্বাসে বরণের কথা বলতে মথ আটকে,
ভয়ঙ্কর ঘুম মাড়িয়ে– বিকল্প দান সব অক্ষরে, বর্ণে –
দ্যাখো, সংবাদ এই চিৎকার
এই দৃশ্য যা কিছু, যৌন– যৌন নয়
শব গেঁথে হু হু নামছি স্বীকার আবার
তপ্ত আমি– ঠিক মন্ত্রে জল চাইতে হত?
কোথায় দাঁড়াই বল– উচ্চারণ শুদ্ধ সব
কুয়োতলা– শুদ্ধ – শুকনো—শূন্য …
শরীর
শরীর মিথ্যে গিলে পৃথা–
প্রবৃত্তি গিলে উর্বর হল–
হু হু ধাক্কা জমে ছন্দ হল ফাঁক
পাতা আর ফাঁক লুকোচুরি খেলে রশ্মি হাতাল–
আয়না ঘষে দত্যি বেরোল হাওয়া–
মরাপাহাড়ের নীচে ভুলে যাওয়া
পাথর খুঁজতে, মরশুমি ফল খুঁজতে
স্মৃতি এলো– স্বপ্ন–বারণ
শরীর উর্বর হতে, ছন্দ হতে, রশ্মি হতে,
দত্যি হতে হতে হতে–
বর্মের নীচে শরীর হয়ে গেল আবার!