বালক বয়সে গিঁট খুলতে পারিনি বলে
তোমার তীর্থস্থানটি দেখা হয়নি আমার।
তারপর গোয়ালন্দ স্টিমারঘাট পেরিয়ে উইপোকার মতো অচেনা দেশের মাটি দিয়ে
ঘর বানিয়েছি আমরা ক’জন।
ভাগ্যিস তোমার তোমাকে ছাড়া আর কিছু দেখিনি সেদিন
তাই শুধু অপরূপ মুখশ্রী নিয়ে
আজও তুমি বেঁচে আছো স্রোতস্বিনী কর্ণফুলি হয়ে।
তারপর দিন গেছে মন্বন্তরে
রাত্রি গেছে বেহুলা-ভেলায়।
নিষিদ্ধ মাংসের লোভে কতবার
চরিত্র দূষিত হয়ে গেছে আমাদের।
সাজানো বল্কল খুলে কতবার
সূর্যোদয় দেখার অছিলায়
ঊরুসন্ধিতে দেখা হলো অপরিচ্ছন্ন পাগলির মাথা…
বিষণ্ণ হেমলক।
এখন ধূসর যুগান্তরে এসে মনে হয় :
পৃথিবীর কিছু গিঁট না খোলাই ভালো।
লুসাই পাহাড় থেকে নেমে আসা
রাতের কর্ণফুলি হয়ে শতবর্ষ বেঁচে থাক
স্বর্ণকেশী আয়েশা আক্তার।