নিমগ্ন দীঘির মুখোমুখি বসে বুনছি রুমাল
রুমালে লিখছি চিঠি পিগমিদের মতো
তোমার তানপুরায় জাল বুনে চলেছে মাকড়শা
সেই জালে সরগম সাধছে বিকেল।
বিষণ্ণ মেঘে তিরিতিরি কাঁপে খেপলির জল
সেই কম্পনে ধরে রাখতে চাইছি সুর
অপেরাঘরের মতো পদ্মপাতার জলে
সিমফনি বেজে চলে উদ্দাম চুম্বনের মতো।
জোছনা আয়না জুড়ে বেহালায় তর্পণ বাজে
জুপযন্ত্রের মতো মৃতদেহ সেলাই করেছি
তখনও কাঁপছে দেখি চোখের পাতার এক কোণ
বিটোফেন সেমিব্রেভ বেহালার বসন্ত রোদে।
দুটি ঘর বারান্দা টব জোড়া টগর ফুটেছে
কতোদিন চোখে মরা সোঁতাটুকু মেঘ হয়ে গেছে
সেই মেঘ যন্ত্রের বাস্পের মতো চেয়ে থাকে
বেহালা বাজান ঈশ্বর একা আমার বিকেলে।