তোমাকে দুঃখবোধে ডুবিয়ে রাখতে চাইনি। দোষ আমার! একের পর এক যে তীর আমি মেরেছি, তা এমন নির্মম হয়ে ফিরবে ভাবিনি। তুমি বুঝবে না, তোমাকে ছাড়া রাত-দিন কেমন দুর্বিষহ কঠিন ধাঁধার মতো হয়ে উঠছে। পোড়ো বাড়ির গুমোট অন্ধকার যেমন গলা টিপে ধরে পিছন থেকে। আমি হিসেব মেলাতে পারছি না। চাঁদ ভাল লাগছে না। কবিতা ভাল লাগছে না। দগদগে জোছনার মতো স্রোত বইছে শরীর দিয়ে। পা পিছলে যাচ্ছে আমার। মন নেই। কথা নেই। এই বিবাদ পর্দা কবে কাটবে অভিমন্যু? ঘুণ ধরছে প্রেমে। আর সময় নিও না। কাছে এসো। ঘোরাও তোমার জাদু ছড়ি। ম্যাজিক হোক!
Recent Posts
Most Popular
জিন্স-পরা বাউলের কবিতা: শাশ্বত গঙ্গোপাধ্যায়
তোমার রূপের বর্ণনা আমি
লিখে রেখে গেছি, পাথরে খনিজে
যেভাবে শস্য প্রবাহিত হয়
ফাটলে ফাটলে, জেগে থাকা বীজে
তোমার চোখের অশ্রুর মতো
হাতের পাতায় ঝরে পড়ে জল
যেন ঝুঁকে আছে...
অরনি: ঋতুবৃতা
অরনি তোমার স্তনবৃন্ত থেকে দেখো জন্ম নিল দুধ-চারা
আদর তাকে দেয়নি নিরাপত্তা
তারা জল-কোষ থেকে স্নেহ মাখছে নীরবে
পুষ্ট হচ্ছে অভিমান
তারা স্পষ্ট হচ্ছে আদিমতায়
মেঘ-রস তাদের ছুঁয়ে যায়
গোপনে...
ব্রহ্ম: অয়ন চৌধুরী
ভেতরের দিকে ঢুকে এলে গাঢ় জখম। মৃত্যুর নেশার মতো
ঘরের চতুর্দশ সম্ভাবনা নিয়ে আমি হেঁটে যায়।
রাস্তার অসুখ, মহুয়ার গন্ধ নিয়েও মন্ত্রের জাদুর মতো
খুলে ফেলো প্রায়...
উত্তরা: সুমন ঘোষ
যে যে নাম বাকি ছিল সব দেওয়া শেষ!
মধুরে আরতি করি, নদীতে নদীতে তার দেখি প্রতিচ্ছবি
একবার চোখ খোলো একবার ডেকে ওঠো : কবি!
আমি নই, আমার...
পূর্বপুরুষ: তন্ময় মণ্ডল
মাছি উড়ে যায় শূন্য গোয়ালঘরে
দু-পুরুষ আগে গ্রাম ছেড়েছিল যারা
তাদের শব্দ শকুনের কানে বাজে
তাদেরও উঠোনে ফুটছে নয়নতারা।
ভিজে চোখ নিয়ে প্রাণ হাতে করে ছুটেছে
দাঙ্গার দিনে কেউ...