তোমাকে দুঃখবোধে ডুবিয়ে রাখতে চাইনি। দোষ আমার! একের পর এক যে তীর আমি মেরেছি, তা এমন নির্মম হয়ে ফিরবে ভাবিনি। তুমি বুঝবে না, তোমাকে ছাড়া রাত-দিন কেমন দুর্বিষহ কঠিন ধাঁধার মতো হয়ে উঠছে। পোড়ো বাড়ির গুমোট অন্ধকার যেমন গলা টিপে ধরে পিছন থেকে। আমি হিসেব মেলাতে পারছি না। চাঁদ ভাল লাগছে না। কবিতা ভাল লাগছে না। দগদগে জোছনার মতো স্রোত বইছে শরীর দিয়ে। পা পিছলে যাচ্ছে আমার। মন নেই। কথা নেই। এই বিবাদ পর্দা কবে কাটবে অভিমন্যু? ঘুণ ধরছে প্রেমে। আর সময় নিও না। কাছে এসো। ঘোরাও তোমার জাদু ছড়ি। ম্যাজিক হোক!
Recent Posts
Most Popular
সর্বগ্রাসী: অজিতেশ নাগ
“পরস্তস্মাত্তু ভাবোহন্যোহব্যক্তোহব্যক্তাৎ সনাতনঃ।
যঃ স সর্বেষু ভূতেষু নশ্যৎসু ন বিনশ্যতি॥”
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ পুরুষোত্তমযোগ)
এক উল্কাপিণ্ডের মতো ধেয়ে এসে আছড়ে পড়েছে সর্বগ্রাসী চেতনা
সংস্কার-কুসংস্কারের তেজঃদীপ্ত পথে শরীর ক্রমশ...
কীসের এত প্রলাপ: প্রদীপ আচার্য
গোলাবারুদের গন্ধে বাতাস ভরে গেলে
বাঁচা কি ভয়ে পালিয়ে যায়রে সাধের
এ জীবন, কষ্টেসৃষ্টে লালিত যাপন ফেলে?
প্রাণের স্পন্দন ধ্বংসস্তূপ থেকে ঠেলে ওঠে
যুগে যুগে, কালে কালে অনিবার
পাথরের...
ভালবাসার কথা: দিব্যেন্দু ঘোষ
কোটি কোটি বার বলেছি
দাপাতে দাপাতে বলেছি
বিছানায় লাট খেতে খেতে বলেছি
কাঁদতে কাঁদতে বলেছি
গাছেদের পাখিদের দিব্যি খেয়ে বলেছি
পাহাড়ের চূড়ায় উঠে বলেছি
মাটিতে পিঁপড়ের উচ্চতায় নেমে এসে বলেছি
চোখ...
অনন্ত হে আমার: দেবদাস রজক
আমার দুয়ারে এসেছে অনন্ত
ওকে খেতে দিই, ভাত দিই, দু’হাত ভরে মেঘ তুলে দিই
তমোনিশির পর এমনই অতিথিভোর
দুপুরে কষ্টমাখা প্রসাদ, খাও খাও… অনন্ত হে আমার
অভাবের আসনে...
নির্বাণ: ভাস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায়
দিগন্ত বিস্তৃত হাওয়া
যখন নিস্তব্ধ স্বরে কথা বলে চলে
ফিরে আসার শব্দ পাই, ফিসফাস
যেখানে খুব করে সবুজেরা ভিড় করে
সবুজ আর সোনালি রোদের
ব্লেন্ডেড মাদকতা যেখানে যেখানে,
অথবা যেখানে...