ক্ষতনিঃসৃত নিদ্রার ভিতর জেগে আছি,
বিভ্রম নেই
কিছু জোনাকি এসে কুড়িয়ে নিয়ে যায় যাবতীয় নীরবতার বিস্তার
দূর নক্ষত্রে সান্ত্বনা খুঁজি। প্রস্তর যুগের ছেঁড়া পালক হয়ে বেঁচে উঠি
শান্ত দেহ থেকে উঠে আসে দারুচিনি কাঠের গন্ধ
দেখি, এক শীতকাল, সর্ষে-হলুদ শাড়ি পরে
আমার জন্য দু’হাত ভরে তুলে এনেছে শুষ্ক বরফ
আমি বয়ে যায়। জৌলুসে, উত্তাপে, অজ্ঞাত অসুখবোধে
নেশা অবতীর্ণ করে এই চরাচর নিঝুম, চুপচাপ বসে থাকে নিভৃত
দুই চোখ স্থির — বৃষ্টি-ধোওয়া জামরুল ফুলের মতো অন্তর্লীন
আজকাল যন্ত্রণা, অনুবাদক সেজে লিখে চলে আমার ঘুম
নিদ্রাকর্ষক তুমি, কূল খুঁজে পায় না জলের একাগ্রতায়
অশ্রু শুকিয়ে গেলে, আমার দুচোখ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।