তোমার চলে যাওয়ার মধ্যে
আমি সন্ধেকে সরে যেতে দেখি।
যেমন করে সরে যায় কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ
ঘোর অমাবস্যার দিকে।
সাগরের ঢেউ ফুলে ফুলে
বেলাভূমিকে পাগল করে
যে অমাবস্যায়,
তুমি চলে গেলে
সেই অমাবস্যার মতো হয়ে থাকে ঘরবাড়ি।
ঘুম থেকে উঠি
চায়ের জল চাপাতে গিয়ে
চা পাতার কৌটো খুঁজে পাই না
থাক গে, পরে খাব ভেবে
খবরের কাগজ নিয়ে বসি
সেখানে কোনও এক বউয়ের
খুনের খবর ছেপেছে একের পাতায়।
মন্ত্রীর দুর্নীতি, সান্ত্রীর বেয়াদবি
লিখে গেছে ক্লান্তিহীন ছাপার হরফে।
‘ধুত্তোর’ বলে উঠে পড়ি।
বাজার যেতে মন চায় না
বেলা দুটোয় দুটো ভাতে ভাত,
ফুটিয়ে নিই।
দুপুর আসে,
বিকেল, সন্ধেও,
পেরিয়ে যায়।
রাত গভীর হলে ইঁদুরের যাতায়াত
বেড়ে যায় ঘরের কোনায় কোনায়
টিকটিকির ডাক আর
মশার ভনভন বাড়তে থাকে।
তোমার চলে যাওয়ার পথ
চেয়ে থাকি আমি
ইঁদুর টিকটিকি মশারা
আমার চেয়ে থাকা দেখে
মশকরা করে। চুক্কি দেয়।
চরাচর অন্ধ করে তোমার যাওয়ার পথ
ঢুকে পড়ে আমার ভাবনার ভিতর।
খুঁজে পাই, ও পথেই ফেলে এসেছি
চায়ের পাতা, খিদের বাজার
আর যুদ্ধবিরতির শান্তি।
তুমি কি ফিরবে আর? কোনও এক দিন?
সেদিনও বাজার যাব না
চা হবে না
খিদের মুখে,
আলো চালের ভাত
মেখে খাব তোমার ফিরে আসা দিয়ে