তুমি থেকে… জয়শীলা গুহ বাগচী

0
340

তোমাকে লিখবো ভাবি
তুমি থেকে সম্বৎসর খসে গেলে
নাম না জানা আশীর্বাদ দাউদাউ জ্বলেছিল
আমাদের মাটি ও দিনাঙ্কে
তারপর একটি একাকী মন্ত্র
ঝরে পড়ল বিবাহের গায়ে
তুমি মৃদুতর হলে
আমি যৎসামান্য হলাম
তোমার অপলকের ভেতর
পলক পলক জল তুললাম
তোমার ভেতর চাঁদ স্বচ্ছ হলে
আমি বাহারী নাও নিয়ে
সাতটি জন্মের অনুপম, ঘরবাদলার কথাকন্না,
লুকোচুরির বৃষ্টি দেখে এলাম
তুমি স্বাদ ছুঁয়ে দেখো, গ্রহণের সূত্র ভুলে
দক্ষিণের জানালা আঁকো
অবিশ্বাসের ছাতিম গন্ধে জ্যোৎস্না লেখো
বিশ্বাস লিখো না
কাতর লিখো না কখনও

তোমাকে লেখা শুরু হয়নি
পোকারা হেঁটে হেঁটে তরঙ্গে চলে গেছে
আমি যেদিন অন্ধ হলাম
তোমার গতজন্মের আবহাওয়া শুনলাম
যেদিন স্নায়ুতে কিছু বেজে উঠল না
তোমার আভাসের ব্যক্তিত্ব জানলাম
জানলাম কীভাবে অবর্ণনীয় দেখতে হয়
কীভাবে সামান্য স্পেসে চা-পাতা ঝরলে
তাকে নিবিড় রাস্তায় ব্লিডিং হার্ট মনে হয়
তবু সব তো জানি না বল
পরমাণু সমান বাতাস, রোগশয্যার গাছপালা,
চেরীফুলের মৃত্যু, সন্দেহপ্রবণ হাসিঠাট্টা
জানি না তো…
বার বার আমার সমুদ্র ছড়িয়ে পড়ে
প্রতিবার গোটাতে গিয়ে
ওর নাম রাখি মরিয়ম বাগান
তোমার নক্ষত্রপুঞ্জ বড় হলে
মুগ্ধতা মিশিয়ে চা বানাই
তোমাকে লিখতে পারি না
কফি লিখি, বিস্কিট লিখি, ব্রেকফাস্ট লিখি
চালের দাম লিখে রাখি…