অভিমান তোমাকে যত না ঠেলে দেয় দূরে
তার চেয়ে দূরে নিয়ে যায় রোমন্থন।
তার চেয়ে আরও যেন বিরাট– দূরত্বের যবনিকা পড়ে
আকরিক খুঁজতে খুঁজতে খনি উজাড় ক’রে
উপড়ে আনতে মানিকমঞ্জরী!
তোমাকে যে সাকি বলে চেনে
সে তুমি পেয়ালার সখ্য নিখুঁত, অম্লমধুর!
যে তোমাকে চাঁদ তারায় গুনে দেখেছে
সে তোমার আকাশী জলে পা ধুয়ে দেয়…
বুঝতে বুঝতে শত ঋতু, অযুত পক্ষ বিহ্বল
মেঘের গড়গড় শব্দে ভ’রে ওঠে আয়ুর শিকারা।
জল ঠেলে-ঠেলে এগিয়ে চলে পাহাড়ের পাদদেশে
যেখানে সবুজ সংকেত যেখানে নীলিমায় সিঁথি–
সেজে আছে অরণ্যের ; সবুজের সাথে তোমাকে মিলিয়ে দিয়ে তবেই তৃপ্তি!
যেখানে তোমাতে মিলেছে অভিমান ,
পাহাড়ের কোলে ‘হেভেনলি’ মজলিস!
সেখানে কীভাবে ঘর বাঁধে আকরিক সমুদ্র?
সেখানে কীভাবে জ্বলজ্বল করে রূপসী খনিজ?