বঙ্কিম লেট: জলপিপি

0
227

শরবিদ্ধ জলপিপি যেভাবে জলের কাছে যায়
ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে আমি সীমাহীন পিপাসায়
দেখতে চেয়েছি তোমাকে; ক্ষান্তি নেই অনন্ত ছোটার
গ্রাম পেরিয়ে শহর, শহর পেরিয়ে গ্রহান্তর
ঘাসে ছাপ ফেলতে ফেলতে আমি কত দূর দূর গেছি
সুধার সন্ধানে যায় মহাবনে যেমন মৌমাছি

সন্ধেবেলা যে পরিটি সপেখম ফুচকা খেতে আসে
পাইন পাতার মতো কাঁপি ওর ভোরের বাতাসে
ওই যে গ্রিলে ঝুঁকে আছে কুরিঞ্জি ফুলের মৌন বুক
খেয়া হয়ে বয়ে গেছি—ভেসে গেছে ওর উপত্যকা
ঘড়িমোড়ে যে উর্বশী ভুট্টাশস্য ছিঁড়ে নেয় দাঁতে
সূর্যমুখী নাভি তার কতবার ছুঁয়েছি দু’হাতে

সন্তকাঁকড়া যেভাবে আধার বদলায় সেইভাবে
শরীর পাল্টাও তুমি। সাক্ষাৎ দর্শন পাব কবে?

তোমাকে দেখিনি, তবু তোমার জন্যেই ঊষাকালে
চিতা থেকে জেগে উঠি; ভাত মাখি বিউলির ডালে
তুমিই লাগিয়ে দাও জামার বোতাম ও পারফিউম
(সারাদিন গন্ধ থাকে কস্তুরি মৃগের মহাবনে)
আমার কড়ি আঙুল লালা দিয়ে এঁটো করো রোজ
তারপর যেখানে যাই, দেখি তুমি অদৃশ্য, নিখোঁজ

আমার সাফল্য নও—কতবার এসেছে সে-ক্ষণ
বুর্জ খলিফা ছুঁয়েছে চন্দ্রচূড় আকাশের স্তন
ভেবেছি এসেছ ছলে; দু’দিন থেকেছি তাতে ভুলে
যদি এসেছিলে হাতে, তবে কই শান্ত হয় মন?
কেন ফের খিদে পায়? কেন কাম জাগে পুনর্বারও
এত লব্ধ, এত প্রাপ্তি…সব যেন জ্বালানি সংগ্রহ

তুমি এসো উপমেয়, কামনারোহিত প্রিয় কাম!
সব উপমান মিথ্যে। টিশার্টে লিখি তোমার নাম