একটা লোক এই মুহূর্ত থেকে ‘নেই’ হয়ে গেল। নিমেষে
বদলে যাওয়া বাড়ি, তার নিজস্ব এক ঘর, আলনায় গোছানো
পোশাক একইভাবে পড়ে থাকে। বিছানায় শোয়ানো মলিন
হ্যান্ডস্টিক, ঘরের কোণে পানের ডিবে সবাই নিশ্চুপ। একটা
অভ্যস্ত শরীরের গন্ধ ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছে। জানলায় ঝুলে
থাকা না-কাচা পর্দা, ব্যবহারিক খুঁটিনাটি ইত্যাকার অবশেষ
ঘেঁটেও তার হদিশ মেলে না। শুধু, দেয়ালে মূর্ছিত ছায়ার
ভিতর সে ছিল, সে থাকবে…
সত্যিই থেকে যাবে? গোটা বাড়ি ফের আগের মতোই
কর্মচঞ্চল, ত্রস্ত, কিছুটা ব্যথাতুর। কেবল শিশুর অলৌকিক
চোখে সে ধরা পড়ে। উবু হয়ে বসে থাকা সিঁড়ির ধাপে, ঝাড়ন
হাতে খাবার টেবিলের পাশে তার অতৃপ্ত ছায়া ফিরে আসে।
এই সফল, চলিষ্ণু, উদাসীন পৃথিবীকে সে কি কিছু বলতে চায়?
সে কি ওই শিশুর টানে ফিরে আসতে চায়?