যেখানে সেখানে মরব না আমি। যেমন তেমন করেও নয়।
অনেক আর্তি, অনেক কাতর ভিক্ষা, বহু আনত জ্যোৎস্না মাড়িয়ে,
এতৎকালের জমানো সব পুত্তলিকাপ্রবাহ;
দু হাতের নখে ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলব শ্মশানচারী শৃগালের মত।
যত পলাতক পরীদের দল, আর রক্ষে থাকবে না হাহাকারে।
যত আমন্ত্রণ, যত নিহত শিশু পঙ্গপাল সব সব ছত্রভঙ্গ হবে –
দানব হুঙ্কারে। হে ক্ষত্রদেবতা, নতমস্তক হও।
শব্দভেদী শায়কে নিরঙ্কুস ভোগবিলাসিতা এফোঁড় ওফোঁড়।
ভেষজ ভূমি খুঁড়ে তুলে আনব আকস্মিক খড়গ।
মাটি, হাড়ি, যবদানা, খরস্রোতা প্রবাহ – সব ছাপিয়ে;
আমি গম জলে চোবানো উন্মাদ দৃষ্টিপ্রবাহ বইয়ে দেব।
সব বৃক্ষ, সব পতঙ্গ নিমেষে উড়ুক্কু ব্যোমযাত্রাপথে।
ঠাঁই নাই। প্রেম নাই। সন্তানকামনা নাই। প্রেমের প্রাচীর পরাহত,
একান্তে শত শত শব সাক্ষী রেখে অনিবার্যরূপে প্রবেশ করব –
সেই অন্ধকারে, যা শিখণ্ডীর মত দণ্ডায়মান ছিল রাত্রিভোর, এযাবত।