সাহানুর হক-এর কবিতা

0
170
Sahanur Hoque

সাহানুর হক (Sahanur Hoque)

আঁধি

আমি একদিন খুব ভোরে নগ্ন পায়ে দেদার বেরিয়ে পড়ব ছায়াপথের মতো পথে,
উপন্যাসের মতো দীর্ঘায়িত উটের শহরে
সীমানা পেরিয়ে খুব কাছে যখন বাতিস্তম্ভগুলি নিখোঁজ
তোমাকে নয়, তোমার মতো কাউকে ছুঁয়ে দেখব ক্যাকটাসের পাতায়
দংশনের ব্যাথায় খুঁজব তুলসী পাতা
শুনশান মৌন পৃথিবীর উপান্তে
ঈশ্বরের ছায়ার অন্বেষণে
আমার পাশ কেটে চলে যাওয়া আঁধির পিছনে ছুটতে থাকব
গন্তব্য পেলে মালিকের ঘরে চৌকিতে বসে কথোপকথন হবে অনেক
মেঘ ও কুয়াশার জীর্ণ ইতিহাস শুনব তাঁর কাছে

বালুকারাশির দীর্ঘশ্বাসে ফুরিয়ে যাবে সময়
পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখব অপরিণত লেখ্য আরত্ত খেলছে বিষাক্ত বিচ্ছুদের সাথে
ঠিক সেই সময়ই আরও একবার মনে পড়বে তোমাকে
সাদা ধোঁয়া উড়তে থাকবে কাছে, মৃত মানুষের গর্ভ থেকে
প্রশ্ন থেকে প্রশ্নের ঝড়ে বালিয়াড়ির মতো ঢিবি ভরে যাবে চারদিক

ঝড় থেমে গেলে সুকন্ঠে পেশাদারী ভিক্ষুকের মতো হাত জোড় করে বলতে থাকব
আমাকে একটু আঁধি দাও,
একটু আঁধি দাও আমার পকেটে!

 

 

কুয়াশার সেই ভোর

তরুণী কুয়াশা ও ভেজা ঠোঁটের আলাপহীন পরিচয়ে
ভোর দিয়ে বাগান সাজাই ঝাপসা প্রণয়ের;
দেরি নয়, আর দেরি নয়
সামনের দিকে স্থবিরতা দ্রুত এগিয়ে আসে
দুটো ঘুঘু পাখি দেখি,
দেখি বন্ধুত্বের নিছক ভ্রম, অভিনয়
অচেনা তবু চেনা মনে হয়,
এসব দৃশ্যের হাইফেনে জুড়ে দেই অনুভূতি আর অভিমান
যাবতীয় ক্ষতে একবাড়ি অন্ধকার হয়ে যায়
সিতানের বালিশ।
খুব কাছেই শুয়ে থাকে মৃত মানুষের কাহিনী
দৃশ্যত বিঁধ চিত্ত, খেয়ালি আকুল
অভিযোগ একেকদিন,
সিঁড়ি হয়ে ওঠা ভোর
সবকিছুই যেন লুকোনো জাদু, তীক্ষ্ণ দহন, তীব্র দম্ভ

দূরত্বের বিষাদ তুলতে থাকি পানবাগান থেকে,
অলৌকিক তৃষ্ণা নিমিত্ত কুয়াশার সেই ভোর!