যেকটি বৃক্ষের কাছে ক্ষমাভিক্ষা করেছি ক্ষয়িষ্ণু রীতি মেনে,
যেকটি প্রার্থনাগীতি স্বরলিপি খাতা জুড়ে আলো,
যেকটি হননসাধ একান্তে অপূর্ণ থেকে গেছে─
সেসব অধ্যায় যোগ করে করে
পৃষ্ঠা গুনে গুনে তুমি জীবনের অদাহ্য আখ্যান রচেছিলে।
এই যে বিজন রাত কিছুই দেখে না খুঁজে, সঙ্গোপনে শুধু
স্থির সর্বনাশ হয়ে জেগে থাকে স্বপ্নের ভেতরে─
মেঘে কুয়াশায় ছাওয়া উঁচু-নীচু অবাস্তব গ্রাম অভিমুখে
ধাপে ধাপে নেমে যাওয়া পাহাড়িয়া পথখানি ধরে
আপেলবাগান থেকে ঝরে পড়া কুমারী লালিমা
যেমন প্রকাশ্যে একা,
পূতিগন্ধময় লাল পচা গলা আনাজের খোসাবাহী জল
শোণিতধারার মতো অপরাধবিজ্ঞানের তোয়াক্কা না করে
তেমনই নির্মোহ হতে পারে ক্রুর নিরঞ্জন একাকিত্ব পেলে।
তুমি যে রক্তাক্ত হবে, নিহিত সন্ন্যাসযোগ আছে কিনা, ভেবো।