কতকিছু প্লাবিত হয়ে যায়
বাবাকে দেখেছি ভাসমান নৌকোর মতো
ভেসে যেতেন এঘর ওঘর,
শাঁখের ধ্বনি শুনে কী ভাবে সন্ধ্যা হয়-
রক্তাভ আকাশ, তাও দেখেছি। শুনেছি
এই নৌকো, এই শাঁখ নাকি বংশের পরম্পরা।
বাজার থেকে মরামাছ এলে হাবুডুবু খেতো
উঠোনের জলে,
তা দেখে বঁড়শির মতোন হাসতেন ঠাকুমা,
সাদা থান ঠেলে ঝুলে পড়তো জীবনের অস্তরেখা।
আমরা যারা ছোট্টো ছিলাম
হাসের মতো সারাঘর চৈ চৈ করতাম,
ডানা ঝাপটাতাম,
সুতো বেঁধে উড়িয়ে দিতাম এক একটা ফড়িং।
তখন কী জানতাম, পৃথিবীর সমস্ত গৃহেই আছে-
অরণ্যের আদিবাস,
এ সব নিয়েই তো মানুষ এবং নিঃসঙ্গের পাঠশালা।
বাবার নৌকো কখন দরজায় ভিড়বে অপেক্ষায় থাকতেন মা
কী জানি, তা ছিল নাবিকের আপ্যায়ন কিনা, এখনও বুঝি না !