বর্ষায় বাড়িঘর ভেসে যায় জাহাজের মতো।
পাখিদের জায়গায় মেঘেরা দুপুর থেকে ওড়ে।
এইসব স্মৃতিদের রেখে দেয় যারা অক্ষত,
বারবার চাইলেও ফিরতে পারে না বন্দরে।
পাটাতন ভেবে জল বাড়ির বারান্দায় জমে।
নাবিকের লংকোট কেঁপে যায় হাওয়ার দাপটে।
শরীর ধোয়ার পর যত দ্রুত আর্দ্রতা কমে,
ঘরে মেলে দেওয়া শাড়ি ততটা আপন হয়ে ওঠে।
বাতিঘর সেজে দূরে জ্বলে ওঠে শহরের আলো।
আলতো চাদর গায়ে যাত্রীরা ডুব দেয় ঘুমে।
ছাতার দোহাই দিয়ে কেউ যাকে ফেরত পাঠালো,
সে-ই একা রাস্তায় স্বাদ পায় এই মরসুমের।
বস্তিতে বাচ্চারা বৃষ্টি-র স্রোতে তোলে ঢেউ,
দ্বীপপুঞ্জের মতো ভেজা রেললাইন-এর পাশে।
আর কিছু মানুষের খবর রাখে না আজও কেউ,
জানালার থেকে যারা সাগর দেখতে ভালোবাসে।