২৩শে মার্চ থেকে, বাড়িতে পাখি আসে শুধু ,
ফাঁকা ছাদে তারা চোখ মোছে –
আমাদের দেখা হয় না তবুও
সকালের আলো দেখে মনে পড়ে, চিঠি আসতো একদিন
পথে পথে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে ছায়া, বৃক্ষ,চরাচর
আকাশ ভরে যায় শোকময় প্রার্থনায়
বন্দরের ঘন্টা বাজে – বেজেই যায়
মুসাফির সব ফিরে গেছে বলে, শূন্য বিকেলে চৈত্র ওড়ে
একা !
খবরে শোনা যায় শ্মশানের হাত দীর্ঘতর হচ্ছে
আমাদের ছাড়া ব্যর্থ হতে থাকে তারিখ
সময় জমে পাথর হয়ে পড়ে থাকে শহরে-শহরে
একদল রাজপথে পায়ে হেঁটে ঘর খোঁজে
ঘরে ভাত,ভাতে জল – জলকে জীবন বলে ডাকা হয়
আমাদের বাড়িতে কমে আসে আলো –
আলো, মরে যেতে থাকে
– দেশে, প্রাসাদে, উপমহাদেশে।
লাশ দেখে ঘুমোয় যারা, তাদের আয়ুরেখায়
আমাদের নাম লেখে মহাকাল
আমরা, নিতান্ত, সামান্য প্রাণ –
আমরা আবার জন্মাবো
বলে,
প্রতিবেশি গোলাপ ফোটাবে আবার
আমরা ফিরে যাবো জাহাজে,চার্চে , উৎসবে
পঁচিশে বৈশাখে আমাদের ভোর ফিরে আসবে
আসবে প্রিয়মুখ, কলহ,কলতান
এবং
আমাদের সন্তান, প্রেমিকের হাত ধরে ময়দান পেরোবে
সন্ধের ঝোঁকে –
বেঁচে থাকলে, আলবাত , আমরা দুই বুড়ো-বুড়ি চুমু খাবো
পার্কস্ট্রিটে
মেয়ের সামনে