চিলের সঙ্গে কথা
চিলের ঠোঁটের ভাষায় তুমি বলেছিলে–,
এমন কন্ঠ দাও যাতে সুর নেই
এমন মধ্যাহ্ন রেখে যাও,
যাকে রাত বলে ডাকা যাবে ।
এরপর আমি কীট হয়ে পৃথিবীতে আসি
পতঙ্গপুরাণ খুলে রাত জাগি
সে কন্ঠ ও মধ্যাহ্নের প্রতীক্ষায়।
পাতালের পদাবলী খুলে বসে থাকি
স্বাধীন পাদুকার প্রতীক্ষায়…,
পুরাণকে চিঠি লিখি, বলি–
আরো পতঙ্গ দাও, আরো ঠোঁট দাও ।
এখন মনে হয়,
তুমি কোন ত্রিকালবিজয়িনী চিল ছিলে !
শঙ্খ না গাঙ আহ্লাদিত !
কে তোমার অহংকারী পুরুষ?
না কি তুমি ছিলে কোনো
মাঘী-পূর্ণিমার পানচিল, পরিযায়ী !
পাখিদের তো বলে যেতে হবে
আমাদের আছে কত শূন্য পাতাল।
ফুলপুরুষ
কেতকী যদি শুদ্ধ নারীনাম, তবে
ফুলের পুরুষটি কই ? কে অগ্রজ ?
পাথরে খোদিত সব নীলে
করতলের চিহ্নগুহায়
যত সুপ্ত বটবীজ তাদেরও তো
স্থাননাম, টাইটেল দিতে হবে
ফুল ও কেতকীরাও তো আন্তর্জাতিক।
সেরকমই কত ছায়া পড়ে আছে গ্রামে
প্রচ্ছায়া উপছায়া আধো-ছায়ান্তর মাখামাখি করে আছে
ঘরে পেলে, কোলে পেলে তাদেরও তো
মায়ার কায়ায় কায়ায় কাক ডাকে
সেও তো এক মায়াময় কুসুমপুরুষ
প্রভাত খুঁজতে গিয়ে ফুলের অন্তর্ঘাতে
কেতকী বুণেছিল যারা, হতে পারে
তারাই ফুলেদের পুরুষ ।