ধীরে ধীরে গভীর ঘুমে বন্ধ হচ্ছে তোমার দুচোখ
আর চারপাশে আলোকলতা ঢেকে দিচ্ছে জ্যোৎস্নার মুখ
তার শাখায় প্রশাখায় ফুটে উঠছে স্মৃতি
পাখিপাহাড়ের সেইসব আশ্চর্য জীবন্ত পাখি
কথা বলছে নিশ্চুপে আমাদের নিয়ে।
শুকনো পাতার উপর দিয়ে হেঁটে চলেছি আমরা
শাসকের উদ্ধত গোলন্দাজের সামনে পুষ্পতরীর মতো
ঘুমন্ত চোখের আড়ালে তুমি হয়তো দেখতে পেলে পলাশবিতান…
এর খানিকপর আলোকলতার চাদর সরে গেলে
জেগে উঠছ তুমি
এ এক নতুন সকাল। তুমি চোখ মেলে শুধু বসন্ত খুঁজছ
অথচ বিপ্লবের বারুদ ঘাঁটতে ঘাঁটতে
আমি ততোদিনে শ্রাবণনিবাসী হয়েছি।
নির্বাসিত দ্বীপে বসে আলো ভরা সকালে লিখছি এই চিঠি
আমার কলমে আর পলাশগন্ধ নেই
তবু ঘুম ভাঙলে একবার অন্তত
আলোকলতার ঘরে এসো।